ইকবাল খান: [৩] নাম না করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘বুলডোজার নীতি’র সমালোচনা করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি, ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে ‘নির্বিচারে ধরপাকড়ের’ ঘটনারও নিন্দা করেছেন তিনি। সূত্র: ভারতের আনন্দবাজার।

[৪] ‘হিংসা এবং নিপীড়নে’ রাশ টানার জন্য সরকারের দায়বদ্ধতার পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের প্রতিটি ব্যক্তিরই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

 [৫] আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের উপস্থিতিতে চন্দ্রচূড়ের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। 

[৬] প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সংবিধানে বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। যাতে শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলি সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্যে কাজ করে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিচারবিভাগের।’’ 

[৭] দেশের সব মানুষের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার পথে বাধাগুলি দূর করাই আদালতের সামনে সবচেয়ে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে জানান তিনি।

[৮] উল্লেখ্য, আদালত ‘অপরাধী’ ঘোষণার আগেই আদিত্যনাথ সরকার উত্তরপ্রদেশে গোষ্ঠীহিংসায় অভিযুক্ত নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিদের সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নীতি বলবৎ করেছেন বলে অভিযোগ। 

[৯] সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং তাঁদের সঙ্গে আরও একাধিক বিশিষ্ট নাগরিক শীর্ষ আদালতের কাছে এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। [১০] আইনজীবীদের একাংশের মতে সে দিকে ইঙ্গিত করেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের বার, দেশের শীর্ষস্থানীয় বার হিসাবে আইনের শাসন রক্ষার পক্ষে দাঁড়াবে।’’